সুপ্রিয় চন্দের কবিতা
প্রিয় লাল
যাবতীয় নাতিশীতোষ্ণ চেতনা
জুবুথুবু হয়ে
লাজুক হয়ে পড়ে তোমার সোয়েটারে
সমস্ত ঠান্ডাকে আমি শিকার করি
ঝলসে নিই, নিজস্ব কৌশলে
রাত বাড়ে , কুয়াশা গাঢ় হয়
মেঘ ছুঁয়ে আসছে ওপারের যাবতীয় ঠান্ডা
সব ছাদে দরজা হয়ে থাকি আজকাল
গোলাপরঙে ক্রমশ সেজে ওঠে অক্ষর
অশ্বমেধ পর্ব
পাসওয়ার্ড ভুলে গেলেও পরিবর্তনের
সম্ভাবনা জোরালো থাকে
অনুগত গ্যালারির অনেকগুলো খোপ
ঘোড়া দৌড়চ্ছে। রেসের মাঠ
গল্পের বইয়ে দেখেছি একমাত্র
আনত হয়ে যাচ্ছে
কান্না..বিষাদ.....অন্ধকার
মা নিষাদ
ঠিক শব্দগুলো খুঁজে পেলে
কলম্বাস একটি পালক উপহার দেন
উদ্যোগ পর্ব
পরীক্ষার কথা এসে পড়লেই
আমি একপাশ ফিরে কখনো শুতে পারি না
বিশ্বস্ত মুঠোফোনের পুরনো গ্যালারি
সাদা সুতোয় সেলাই করে নেওয়া হচ্ছে অনেকটা
ছেঁড়া ফাঁটা বইগুলো
দুস্প্রাপ্যতা রাস্তায়
ভাকঘুমমগ্নতায় অবলীলায় শুয়ে থাকে
বছরের নির্দিষ্ট পর্বটিকে
উদ্যোগপর্ব বলি।
বন্দর
চোখের কাগজ অংশে
জলপথ ছাড়া আর কিছু নেই
বন্দর আর সাঁকোকে আমি কেঁপে উঠতে দেখি
বন্দরে শীত পড়লে খুব তীক্ষ্ণতা প্রয়োজন
হাওয়াসময় পার হয়ে যায়
জানান দেয় জলীয় জরুরি অবস্থা
আমার শহরে কোন বন্দর হতে পারে না
ঠিকমতো তোমার বাড়ি চিনে নিয়েছি কাল ভোরবেলা ।
দেবীগড়
জায়গাটির আশেপাশে অসংখ্য গুঁড়ি পড়ে থাকে
কাঠবন,শুধু কাঠের ঝোপেই অন্ধকার সেলাই হয়
ভবানী পাঠক ডাকাত,ঐ চলেছেন দলবল সমেত
কালীপুজো সেরে
তখনও ওদের নোঙর-বজরা কিছুই তৈয়ার হয় নি
অন্ধকার সেলাই হলেই ,সময়কে ধরে আনা সম্ভব
অতীতের শহর খুঁজে মশালের তাপ বয়ে আনি
বয়ে যায় তিস্তা
রাজবাড়ি দীঘির পাশে,সন্ধ্যা আসা অবধি
কোন এক রাজবধূ
গৃহকাজ সারেন,নরম চাঁদের মতো
কয়েক শতক ধরে
জলের অর্ধেক আবডাল সরিয়ে
ঠিকঠাক সেরে নেন সব কাজ
উপন্যাসে, নূপুরের ফাঁকে...
দেবী চৌধুরাণীকে উঠে যেতে দেখা যায় এভাবেই

আর কত প্রতিভা দেখবো তোমার।
ReplyDelete