প্রশান্ত বারিকের কবিতা
১
যা কিছু ছুঁয়েছি তা পাথর হয়েছে
ফুল হয়ে ফোটেনি কখনও
ঝম ঝম বৃষ্টি নেমে এলে
আকাশের দিকে চেয়ে থাকি
দূর প্রান্তরের দিকে চেয়ে থাকি
তুমি যদি হাতছানি দাও
শীতের বাতাসে দীর্ণ পাঁজর কাঁপে
ঘুমিয়ে পড়ার আগে কালসাপ
ঈশ্বরকে অভিসাপ দ্যায়।
২
শব্দরা উড়ছে হাওয়ায়
ধরে নিতে পারো যদি ধরো
কোন বউয়ের কথা
বউকথা বলল উড়ে উড়ে
আকাশে কোন ছবি আঁকা ছিল
কোন ছবি আঁকা হবে আজ
নিশিডাকে সাড়া দিয়ে
হামাগুড়ি দিতে দিতে
তালকানা
বেবাক তোমার পেটের ভেতর।
৩
তোমার ঘর গৃহস্থির ভেতর
যেখানে আগুন নেচেছিল
সেখানে আজ টুসুগান পউষপরক
আকাশে কয়েকখন্ড উদাসি মেঘ
মলিন বালুচরি শাড়ির স্পরশে বাতাসও শরমায়
নদীতিরে আবার জ্বলেওঠে আধপোড়া লাশ।
৪
অনেক বছর ঝারাপাতার উপর হেঁটে
নিজেকেই ঝরাপাতা মনে হয়
প্রতিটি মানুষের বুকে যে গল্প বসে আছে
তা লিখতে পারলে নতুন এক মানুষপুরান হত
রঙিনফুল পাকা ফলের ভেতর ঘিনঘিনে পোকা নড়ে উঠলে
বুকে সুপারি গেঁথেথাকার কষ্ট দুপুরবেলায়
নোংরা রাস্তায় কিলবিলে ভিড় পা চালানই দায়
তবু পেটেরদায়ে পথচলতেই হয়
ফাগুন তুমি কবে আসবে
আজন্ম চেনা গাছগুলো সব লোপাট হয়ে গেছে
এখন সেখানে হাইরাইস কাঁচ স্বপ্ন পণ্যবাজার
গুমসুম আলো আঁধারিতে রংমাথা হাইব্রিড সুন্দরী।
৫
(কবি দীপঙ্কর দও কে )
ফেউয়ের ডাক শুনে শুনে গুমসুম রাত কাটে খড়শয্যায়
নৈকটে নাগিন্ অসহজ পারদতাপে হিস্ হিস্ করে
দূরে টাংগিতে শান দিচ্ছে কেউ
ধারালো ফলায় সূর্য ঝল্ কায়
সর্ষেফুলের ভেতর লালভুরে শাড়ি একলা মেয়েটি-
প্রেতহাওয়া তাকে ঠেলে নিয়ে গ্যালো ভাগাড়ের দিকে----
শমশানের আগুন বুকে বিষাদপুরুষ
টালমাটাল নেমে আসে জলের গভীরে -----
যশ- অর্থ -প্রতিপওি -তর্কবিতর্ক -প্রিয়বন্ধু -নারী
হাইরাইসশহর- গ্রাম -প্রান্তর ছাড়িয়ে
একক কবিআত্মা ভেসে যায় অমোঘ শূন্যতায়----
Prashanta-kabita.... Mon Shanta kore....
ReplyDelete