ধীমান চক্রবর্তীর কবিতা
গমন
তোমার শহর বললেই ভিজে চুমু ।
আট-দশ রকম শোনা আর বেজে ওঠা ।
পাখিশেষ বারান্দায় শেখানো শীতকাল ।
বেতের চেয়ারে
শুক্লপক্ষ এবং রিহার্সাল ,অল্প ফেরিঘাট ।
দোষ না দেওয়া রঙচটা জিনিস ।
সোনায় সোহাগা হয়ে
বসে আছে বাথটাবের কোরাসে ।
গন্ধরাজলেবু আলো থেকে অন্ধকারে এলে ,
কোপারনিকাস হয়ে যায় আমার কুশপুতুল ।
প্রতি তুলনায় আর কতদুর যাবে যন্ত্রণা ।
পালকি একদিন
এসেছিল ধানখেত গাইতে গাইতে ।
আজ শুধু তুমি ভেবেছিলে ।
হয়তো আসবে ।
জীবন
বনভোজন । বোতলবন্দী শীতকাল বাইরে
বেরিয়ে হেসে উঠলো । প্রাতরাশে চোখ --
আংটি খুলে রাখা আঙুল পছন্দ করে ।
জলফেরতা ছেলেমেয়েরা ,
মুখোশ পোড়ানোর খেলা খেলছে । এককোণে
শুয়ে থাকা রুকস্যাক ।
বন্ধ মানচিত্র ।
মাঝে মাঝে কেঁদে ওঠে ভুল করা খেলায় ।
এই দুনিয়া অন্ধকারকে যতটা ভালোবাসে ,
আলোকেও ততটা ।
কোনদিকে যাবো ।--
আজকাল আর ঠিক করতে পারি না ।
শূন্যের সাথে শূন্য জুড়ে অপেক্ষায় থাকি ।
সারারাত ।
খুব ভাল লাগলো গমন কবিতাটি
ReplyDelete