দেবযানী বসু

 

দেবযানী বসুর কবিতা


কোকিলের পেপারব্যাক ঋতু


ঘস্টে ঘস্টে চলছে অবসাদের বছর. হাসপাতালের ঝাউপাতা কখনো ঘুমোয় না. অসংখ্য মৌপাতায় শুধু কণ্ঠস্বর ধরে রাখে. একোরিয়াম থেকে অন্য একোরিয়ামে অদৃশ্য অসুখ ছড়িয়ে পড়ে. হঠাৎই মুচড়ে ওঠে অর্কিডের শহর. শহর একদিন সব পথ অদৃশ্য করে দেয়.পড়ে থাকে ঘড়ির বেল্ট আর চাকার টায়ারের যুগসন্ধি. শ্রেষ্ঠ প্রেমিক অ্যালজোলাম. সাতশো কোটি নৌকো নদীর খোঁজে নেমে পড়েছে. আমার কবিতা পড়িস রোগাটে কার্বোভেজিটেলিস আঙুল বুলিয়ে বুলিয়ে. আমি ঘুমোতে যাবার আগে কবরের কলিং বেল বাজাই. কবে কে কবরের ক্লান্তির কদর করেছে...

কিছুটা পথ চিবিয়ে তোলা  বয়ান


পাখির বাসায় কেকের কাকলি মিশ্রণ. তার থেকে লাফিয়ে উঠছে স্ট্রামিংয়ের আঙুল জোড়া জোড়া. নায়াগ্রা কিউবিক... গ্রীষ্মর সঙ্গে বর্ষার হিংস্র ওয়ান ডে ম্যাচ...পালতোলা আকাশ আর পাল খাওয়ানো নৌকোর দেশের কবিদের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়. রেশ্মি ঘাসের উপর চেনা ছড়ার কবিতা দেখে রোবোট ছুটে আসে. তিল তিল  জমানো  চুমুর মরুশিশির ঝরে. আঠালো গল্পে দরজা জুড়ে যায়. যন্ত্রণা ও ভরসা পাল্লা স্থির হতে দেয় না. উঠোনের পাতকুয়োর জল উপরে উঠত আসতে আসতে কুয়াশা হয়ে যায়. ঋতুবৈচিত্র.

কালোবিবর চ'ড়ে উঁচু জানলার মিথ


ট্রফি ও টফির জীবনানন্দে আটকান খুচরো গ্রহ মৃত উপগ্রহ. আচমকা একদিন মৃত উপগ্রহ আয়নায় দেখা দেয়.আমরা কোল্ড ফিউশনে চুবিয়ে নিয়েছি ডিনার আর কবিতাপার্টি. ম্যান অফ দা ম্যাচের সাজে অতিপার্টি মানব জন্মায়. অসহায় রমণ শব্দটিকে পার্কে ফেলে আসে মিথরমণী. নেটে ওড়া এক ঝাঁক উজ্জল পায়রার ডানায় ব ফলা দেবার সাহস সহর্ষিত এ হর্ষ কারা বাতিল করল.... আমাদের মায়ের প্রসবব্যথা থামে না কখনো. আমরা ঈষৎ বানিয়াকপিল. আলাদিনের প্রদীপের সলতে বাড়িয়ে চলেছি. আর যে কোনো বালিকা বিদ্যালয়ে সিঁদুর ও টমেটো কেচাপের ধুন্ধুমার সমস্যা রয়েই যাচ্ছে. অব্যর্থ্য  আম প্লাস আমের হোলস্কয়ার.

মস্তিষ্কে পাখির বাসার আব্দার


এক প্রস্থ অতীতের সম্ভাবনা বৈশাখী জারুলে.জানলার গায়ে সাগরিকা হাওয়া ,বক্তৃতার তরল আওয়াজ , যে গুহামুখ খুলে বাবা অথবা পশুরাজ চলে গিয়েছিল, বেলুনের ভিতরকার একাকি মনখারাপি.আত্মহত্যার পরোয়ানা পেয়ে স্থানীয় নদী আপনবেগ পরকে দিয়েছেন.বৈশাখের বৈশাখ-পচ্চিশী...সূর্যের পবিত্র বুন্সেন্ট বার্নার...কপোলের সিকিভাগে রোমাঞ্চ অগ্নিনির্বাপন বিধি  মানে না ,আমার আগে আসান পরে মুস্কিল.বড়ো বড়ো উৎসবের মাতাল সিনেমা হল পুরসভার তালিকা শূন্য করে নিরামিষ দেশ ছেড়ে চলে গেছে.

এক্স রে প্লেটে আকাশ


এইমাত্র চৈত্র ঝাপ্টা মেরেছে পাঁজরে ও ক্যালেন্ডারে.সংসারের নাব্যতায় ফোঁটা ফোঁটা নাট্যরস. একজন সাপের তীব্রতায় একটি নগ্নপথ.মোড়ে মোড়ে লুডোরং ডাকবাক্স নিয়ে সে সোজা ছুটতে চায়.সাইকেলের ভেঁপু আমগাছে বৌল লেখে.পাশে কেউ সুইচ টিপে অন করে ফৌজদারি চিৎকার.দাবড়ে ওঠে তাদের টাইটাইফুন.আমি নাকি জল জলোরা নাকি অপ অপ্সরা. অমরাবতী নাভিদহ.বিশেষ দ্রষ্টব্যর নিচ দিয়ে নিয়ে যাই.সবই বিংশোত্তরী মতে চলিতেছে.

No comments:

Post a Comment

Facebook Comments