বিজয় ঘোষ

 

 

বিজয় ঘোষের কবিতা

অরণ্যবাতাস


খেলার ছলে অরণ্যকে ভালোবাসা
খেলতে গিয়ে অবাকবালার হারিয়ে যাওয়া

ভালোবাসায় ঘিরে আছে অরণ্য আর কৃষ্ণচূড়া।

পদ্মস্তন ছুঁয়ে যাওয়া
 অরণ্যবাতাস---
ধূসররঙের দিনলিপি...

এই খেলাতে নেই কোনও হার
আছে কেবল হারিয়ে যাওয়া-----

লীলাবতী কিংবা অলীক ডাকবাক্সের গল্প


ডাক বাক্সে একটাও চিঠি আসেনা।বস্তুত ডাকবাক্সে কোনও চিঠি নেই।সে সব পাইন গাছেরা হারিয়ে গেছে। পাইন গাছের অভয়ারণ্যে তোর পায়ের চিহ্ন নেই। যা কিছু ভালোবাসাবাসি ছিল ধুয়ে গেছে চেরাপুঞ্জীর অজস্র বৃষ্টিধারায়।তোর স্কুলবেলার সেই সব কুয়াশা।অনন্ত অরণ্যভূমি  -- রোমান ক্যাথলিক চার্চ -- অফুরন্ত সব সবুজ জলপ্রপাত। যে ডাকবাক্সে গুম হয়ে ছিল সেই ডাকবাক্স পুড়ে গেছে শেষ শরতের বিষণ্ণ বিকেলে।

কতদিন অলিভপাতার গন্ধ মাখা কোনও চিঠি পড়িনি!  তোর প্রথম চুমুর কথা মনে পড়লে জিওল মাছের গন্ধ নাকে ভাসে।দীর্ঘকালোচুলের গন্ধ ঠিক যেন  শিলচর সেন্ট্রালরোডের সন্ধ্যা।মেয়েদের স্কুল বলে আলাদা কিছু হয়না।শুধু এক অলীক বালিকাইউনিফর্ম আর  সাইকেলকিশোরের আনাগোনা।সেই সব পাইনগাছ বড় বেশি দুঃখ ডেকে আনে।চোখে ভাসে দুইবেণীর অমলসরলতা।আজ যদি মাঝ দুপুরে বৃষ্টি হয় আবার।আরও একবার ডাকবাক্স খুলে দেখবো।


মাংস-ভাত


এক সময় খুব ভালো মাংস রান্না করতে পারতাম।মাংস মানে মাংসই অন্য কোনও মানে খুঁজতে যাবেন না।এরপর ঐ যা হয়  অনভ্যাসে আস্তে আস্তে ভুলে গেলাম।মাংস রান্নার গন্ধ কিন্তু আজও খুব ভালো লাগে।এক সময় আরও কতকিছু পারতাম।যেমন সাইকেল চালাতে,সাঁতার কাটতে।অনেক দিন সাইকেল চালাইনি। সাঁতারও কাটিনি।মাংস রান্নার মতো কী সাঁতার কাটতেও ভুলে গেছি?লোকে অবশ্য বলে একবার সাঁতার শিখলে আর ভোলা যায় না।একবার জলে নেমে দেখবো?যদি ডুবে যাই?


এক সময় খুব ভালো মাংস রান্না করতে পারতাম। ভাতটা পারতাম না।

2 comments:

Facebook Comments