যশোধরা রায়চৌধুরী

 

যশোধরা রায়চৌধুরীর কবিতা

ক্ষতের কবিতা আর কবিতার ক্ষত


এই মাত্র চলেছিল।
আমাদের এইমাত্র চলা।
ক্ষতের কবিতা আর কবিতার ক্ষত।
সূচ জানে ফোঁড়ে ফোঁড়ে কীভাবে নিচের দিকে গিয়ে
আবার ওপরে উঠে আসা।
যেভাবে গ্রাফের ওঠা পড়া
বলে দেয় জীবন্ত পাহারা দিচ্ছে হৃৎপিন্ড, মুহূর্ত সামলিয়ে।

এইমাত্র চলেছিল।
আমাদের এইমাত্র চলা।
কিছুদিন স্থির আর কিছুদিনে নিস্তব্ধ সে পাড়া।
কিছুদিন চুপচাপ, কিছুদিন অশান্তিবিহীন।
এই বুঝি ঘুম যায় আগ্নেয়গিরির গতিধারা।

এইমাত্র চলে তবু
চলে না, কখন যেন সাড়া
পড়ে যায় পাড়াময়, তখন উত্তাল হয়  ভেতরে যে কারা!
টগবগ ফুটতে থাকে... অতর্কিতে ঘুরতে থাকে ধারণ করতঃ
তোমার এই অশান্তি ও তোমার এই ডাকবিদ্যা, গোলযোগ, ভীতি

তুমি ওঠো, উত্থানের পদাবলী, তীব্র, বলগাছাড়া।

ভালবাসা বারণ করেনা
তবে এ বারণ কী গো? শিকল, না গার্হস্থ্যের শাপ?
ভালবাসা ধারণ করে তো
তবে এই বিষণ্ণতা কেন।
এই বিষণ্ণতা যেন উঠে আসছে টিউকলে টিউকলে
তীব্রতম আর্সেনিক হেন।

ভালবাসা কারণবিহীন
ভালবাসা জল হয়ে এসো
ভালবাসা সরু ধারা , বহো!
ভালবাসা , রয়েছ অক্ষত...

সহ্য দিয়ে দিয়ে আমি টিউকল টিপেছি অথচ
আর্সেনিক উঠে এলে জানা কথা ভালবাসা ভয় দেবে শুধু...আর ক্ষত!

কোথাও কোন ত ক্ষতি নেই
ক্ষত নেই, ক্ষত নেই কোন
এই পথ দুদিকে গিয়েছে
তবু পথ দুজনে কপচানো

আমি চলি, পথে পথে , আর
পথ চলে আমাতে তোমাতে
পথ আসে গুঁড়ি মেরে আর
পথ করে নেয় পায়ে, হাতে

পথের ত কোন গতি নেই
গতি শুধু নিজেকে সমঝানো
তোমার আমার মধ্য দিয়ে
ফাঁকরচনার ছিদ্র কোন

রচে নিচ্ছে পথ নিজে নিজে
হাঁটা থেকে ক্রমশ দুদিকে
আমরা আমাদের পা ফেলেছি
চিরে গেছে দাম্পত্য ক্রমশ

ক্রমশ দুভাগ হয়ে গেছে
এক হওয়ার কথা ছিল যার
যাকিছু হরণ করে নিল
এখন  দুজনে হাহাকার

1 comment:

Facebook Comments