রাহুল গাঙ্গুলী

 

রাহুল গাঙ্গুলীর কবিতা

সেমি-প্লাস্টিক ম্যাগমা ন্যুড



যতোক্ষন নেশার ঘোরে আছি
একের পর এক মাড়িয়ে যাব
সীসার বিপরীত ঘাস.....
এক অজানা শৈশব এসে বলবে
ঘুড়ি ওড়াচ্ছ না কেন

সাঁজোয়া গাড়িতে বয়স রেখে এসেছি
মুখোশ আড়াল
ফুলদানী ভেঙ্গে ফেলি
পরকীয়া প্রশ্রয়ী ভাষায়

অবশেষে রয়ে গেল মৃত-মোম
মৌচাকে দেখছি ১-মৃত আগ্নেয়গিরি
কিভাবে ধ্বংস করছে সাবমেরিন চোখ


ঠিক গতকাল এসময়
আমরা যখন নিজেরা
নিজেদের গোপনীয়তা খুলে
গোছাচ্ছিলাম স্যুটকেশ
অজান্তে খুন হয়ে গেল
আমাদের মারীচ প্রেম।
কয়েকটা ক্লোরোফিল
চিঠিতে লেখে নি

মা তোমার রেক্টামের স্যুপ
আমাকে ভাবিয়েছিল
একাকি ১-কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প


অবশেষে সব ছেড়েছুড়ে
আক্রমন করবো তোমার অলিখিত সন্ন্যাস
ফকির পাখিটাও জেনে ফেলেছে
এক বাউলেরও শিশ্ন বিপর্যয়
কখনোই ভূমীকম্পের থেকে সুতীব্র নয়।

আড়াই চালে যেকোনো আঁচলের আড়াল
১- নিষ্ঠুর অভিযোজন।বিদ্যুৎে শান দিই
মেঘের সরোজমিনে বেলোয়ারি দেওয়াল

ক্রমশঃ খোঁড়াখুঁড়িতে ওঠে
বাতিল ঈশ্বর
আমদেরও সে খেয়ালে প্রেম
ভাসছে জাহাজের ডেক পৃথিবীনা গাঢ় অভ্যন্তরে
মাস্তুলে কালো সাপ


পা থেকে মাথা পর্যন্ত পিয়ানোর রিডের মতোই
ফুলে যাচ্ছে তোমার কাচচেরা শরীর
আমাদের মধ্যে এখন টরিচেল্লীর ভয়েড্

অস্পষ্ট আওয়াজ খুঁড়ে ফেলেছো কবর
কয়েকটা দরজার আড়াল কয়েকটা বন্ধ
ঘড়ির কাঁটারা থামার আগেই কমলা সোহাগ
লেবু গন্ধা পার্ফিউমে খনিজ ক্লোরিন

আমরা দুজনেই কিন্তু
আড়াআড়ি ০ ও ১এর মাঝমাঝ সিম্ফনি
মোবাইলে অন্ধকারের রিংটোন বাজছে


এখনো দেগে দিচ্ছ ছাইছাই বুলেট
ওহো ইচ্ছামতি
তোমার অসভ্যতায়
আজকেও আমি গোলাপি সাবানের শয়তান।
মন্দিরে ঢুকতে গিয়ে
টাড় বাঁড়ায় খাবি খাচ্ছে নীলাভ জলপ্রপাত
কিছু ঘুম কিছু অঘুম অসুখ
আরো খানিকটা এগিয়েও
অসৎ হবো শরীরের কাছে।বন্যা আসবে
বলবো বন্য কালবৈশাখী জাদু জানে
বরফ ঝরলে বলি ভয়াবহ অগ্নুৎপাত।
বর্ষা ঢুকলে আষাঢ়ী ব্যস্ততা
অস্থির ডায়াল গেজে অস্বস্তির লালাগত লাল


অবনমনে বারান্দা ভাবলে
মলিনা রঙের সাজান দিও।১টা খেলনাবাটি
খেলনাবাড়ি পুতুল
আমাকেও পুতুলের মতো
ছিন্নবিচ্ছিন্ন ডিনামাইট

রাত জাগলে
অন্ধ পাখিটার শরীর ছটফট করে
মাথায় হাত বুলিয়ে দাও
জোড়া ডানার তাপাঙ্ক তখন মাইনাস

এসব ক্যালকুলাসে এখনো মন নেই
জানলার বাইরে দেখি
নিহত চাঁদ ও চাঁদের বাড়ি শান্ত

ট্রিগারে চাপ ওফঃ মা
বা মা জাতীয় মুরগির আবেগ
শেষ ছুটির রাত্রিকালীন ঘন্টার টিংটিং


ঘষা চশমায় পৃথিবী দেখলে
অপোজিটে তুমি'মন্ত্রা প্রজাপতি।
প্রজাপতিডানা ছিঁড়ে উড়ে যায়
প্রস্তুতঅকাল সমুদ্র ঘর
২-ফাঁক করা হাঁ মুখ থেকে ঝরে যাচ্ছে
আমাদেরও লুটোপুটি সেইমতো

কালো বালিতে তাজমহল এই ভেবে
গুডনাইটের পর মুছে যাওয়ার পতন
নিশ্চিত।তখন তুমি ততোটাই অগোছালো
অন্য শিরায় বিষ ছড়াচ্ছ সিরিঞ্জে লাভা


১৮টা ইলেকট্রিক শকের পর
বিস্ফোরণে ইনফিনিটি ভোল্টেজের বিদ্যুৎ
আত্ম-ক্ষুৎকার
হজম হয়ে গেল পৃথিবীর নোনতা তেজস্ক্রিয়তায়
মিসাইল।বুলেট।ব্যালট।ঘড়ি ও ঘুড়ি

প্রশমনের নিউরোটিক্ আবিস্কারে
মানচিত্রের সাদা নিশান ভুলে
মুছে গেল রাহুল ও রাহুলে রা

কেবল তোমার ঠোঁটে রাখা কৃষ্ণচূড়ার বীজ
যে প্রজাপতির মৃত শব রেখেছিল
বেঁচে গেল তারাই স্রেফ।
বেঁচে ছিল ক্ষুৎকার অসীম ভোল্টেজ অবশেষে


যতিচিহ্ন উড়িয়ে কবিতার রি-প্রিন্টে
নামটাও বদলাতে হয়
২-সুড়ঙ্গের মাঝে যেমন
সলোমনের গুপ্তধন বাঘবন্দি ঘেরাটোপে

তদন্ত চলছে
১-বিশেষ তারকাখচিত উপগ্রহের সাক্ষাৎকার

নখ্ মুক্ত অভিমানের মড়কে
গলগলিয়ে ফিনকি ছেটানো অতিভুজ
নষ্ট কবিতার চারমিনার
১ম ইলেকট্রোলাইসিসের কবিতা পুষেছিল সে

1 comment:

Facebook Comments