শুভ্র সরকার

 

শুভ্র সরকারের কবিতা

অস্পষ্টতা


গোটা তিনেক রঙ পেন্সিল আজো পড়ে আছে,
হয়তো যত্নে হয়তোবা অযত্নে;
তবু আছে।
লাল ফ্রক উড়িয়ে জুঁইদি আসতো
প্রত্যেক বিকেলে আসতো
আচমকা চুমু এঁকে দিতো।
কানের কাছটায় ঠোঁট ছুঁইয়ে বলতো,
এই শুভ্র, তুই কি আমায় ভালোবাসিস!
গাল মুছতে মুছতে আমি হাতের রঙ পেন্সিলটা ছুঁড়ে দিতাম।
বাঁশের সাঁকোটা আজ নেই,
তবে বিকেল আসে, নিয়মকরেই,
তবু জুঁইদির দেখা নেই!
নাহ্। আমার মনের মধ্যেও জুঁইদি নেই। কোত্থাও নেই।


এলকোহলিক

গির্জার বারান্দায় তিনখানা মদের বোতল
একখণ্ড স্তন আর এক নবজাতক অনড় 
চোখে পৃথিবী লেগে আছে, মনে দুঃখ অতল।

রোববার, প্রার্থনার সময় হয়ে এলো
ঝাড়ু হাতে এগিয়ে আসে ঈশ্বর, বলে দূর হ শালা
এলকোহলিক, শব্দিত শুচিবাই ঈশ্বর নামধারী আল্লাহ
ম্যাকালিন স্কচ আর মানবশিশু গুলিয়ে নিলো।

নরকের পশ্চিমকোণে পাপ বেড়ে ওঠে
কতশত বারবিলাসিনীর ভিড়ে
নবজাতকের পৃথিবী গড়ে ওঠে তড়তড়িয়ে।

মাতাল ঈশ্বর বয়সের ভারে নূয্য
অপ্রিয় মানবশিশু আর ব্রোথেলে পৃথিবী; 
এক সুবিশাল নিষিদ্ধ অরণ্য।

তৈলঙ্গ
আমি ফ্লোরের গা ঘেঁষে শুয়ে থাকি। আমাকে বুদ্ধিজীবী বলা হয় এবং কিছু ভাতাও পাই। আমার উদ্ভাবিত নিজস্ব একটি তৈলঙ্গ আছে। এটা চুল গজানোর সহায়ক এমন লিখিত একটি কাগজে মোড়া। যদিও তা সম্পূর্ণরূপেই টাকবর্ধক। বিগত কয়েক দশক আমি নেত্রীস্থানিয় লোকের পশ্চাতে মাতৃস্নেহসমেত তা ঘষে চলেছি।

No comments:

Post a Comment

Facebook Comments