অনিকেশ দাশগুপ্ত
বিমর্ষ ক্যাথেটার
মাথার রক্তকোষিকায় তিনভাগ শুধু
অগ্নি ! অগ্নি ! অগ্নি!
কুক্ষি মানবেরা আমায় অগ্নি-ব্যাপারী জানে
এতবছরের আমিষ প্রোটিন খাদ্যপ্রাণ
আঁষটে মাছ |ভালো জানে | ওরা এদেহের
কোষ অনুকোষ মচ্ছব জ্যান্ত বোঝে|
ওদিকে হিমঘরে শীতল দুপুর মাথা
পেতে ঘুমিয়ে গন্ধক;মেশানো ঘুমে
জ্বালা-মুখ |আমার ২৯ টি দর্পণ মাছের
আঁশ - নখ খুঁটে খুঁটে নখক্ষয়…
সারাদিন প্রচণ্ড পীনোন্নত যা কিছুতেই
মন প’ড়ে ,মন পোড়ে যেমন ঝুর ঝুর
অগ্নি ,রক্ত শরীরের ভয়ঙ্কর ভাঁজে
হিমঘর ভেসে আসে | এই পৃথিবীময়
মেঘ হাঁসের শাদা আর সহ্য হয়না |
দিকচক্রবালে রোদের পাহারাদার
বড়জোর ওদের ঈগল ঈগল ডানা
আমাকে ভাবায় , ধাতু ভাবায় ,
আ..আমার ধুমজ্বর ,কালো ঘোড়ার
হ্রেষা মিশে চিৎকার | একশ তিন ডিগ্রী
কি ডেসিবেল্ ঠোঁট কাঁদে |
ফলতঃ একপাশে কাত হয়ে ক্যাথেটারে
অসচ্ছ বিমর্ষ মূত্র কেবল মূত্র..
ঈশ্বর বিষয়ক ১
একটা দুপুর চিলেকোটায় মুখস্হ খোয়াব
গ’লে দ্রবীভূত ৩৩ কোটি ঈশ্বর |
শোধনশালায় স্তরায়িত তপস্যা
সংশ্লিষ্ট ভুলভ্রান্তি
স্পেয়ার পার্ট প্রক্ষালন
ক্লেদাক্ত ইদানীং|
ঈশ্বর বিষয়ক ২
এমন সময় বিকেল কাঁধে
টলমলে সূর্য |
সিঁড়িতে ভবিষ্যত্ আধখোলা
দিগন্তে বেড়াল ছেড়ে দিলো
কেউ এইমাত্র -
মাছেদের গান গেয়ে|
No comments:
Post a Comment