পীযূষকান্তি বিশ্বাসের কবিতা
বনমালী তুমি পরজনমে হইয়ো রাধা
পড়ে আছে মাঠ এক আগুন তল্লাশী কাম,
বীজ বিছিয়ে বিছানা পড়ে আছে
এই ধানখেতের পাশে কাঙাল গাং নিয়ে
তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠা একবুক
কাঠফাটা চৌচির
জেনো না এই জুন আর যৌনতার বক্রতা
দুর্বার খিদের সাথে শুষে নেওয়া লিফি লিফি দুর্বা
দুগ্ধহীন বলে কেউ অবুঝ নেই আর ।
কতদিন মেঘ গাঢ় হয়নি এই ঘাসে
ঘাস, অনেক কাল্পনিক ঘাস এইখানে আঙুল দিয়ে
এই নেশা থেকে
মাঠ তুলে নিয়ে দেবো এক আছাড়...
সমকাম থেকে সাম্য আসে না বনমালী
অযথাই সুদামার কাছে নিজেকে গোপন করেছো
এই চৈত্র পার হয়ে গেলে
মৃন্ময়ীর শুভ পরিণয় হবে
ফিরে আসিবেন না সে কাজোল ভ্রমরা আর
এই রাত,
এই উজাগর মোরগ নিয়ে এই যৌবন কাবার
বনমালীগো তুমি পরজনমে হইয়ো রাধা ।
মাঝি বাইয়া যাওরে
এক নং ঢিলঃ
নিশানা থেকে পাখি উড়ে যায়
পাখা থেকে মনে পড়ে শয়নকক্ষের কথা
এই সব পালক দিয়ে এই সাধের বিছানা বালিশ
উড়ে যায় এই অবকাশ,
উড়িয়ে দিই পাখনা
দুই নং ঢিলঃ
আগুয়ান রাত থেকে পায়ে পায়ে ছুটে যায় রোদ
মহাজাগতিক তরঙ্গ থেকে এই পদক্ষেপ
যেভাবে দিন ডুবে যায় আর
যেভাবে দিন চলে যায়
চাকা থেকে ফিরে আসে কবিতা
তিন নং ঢিলঃ
মায়ের পেট থেকে কেটে নিচ্ছি পেট
বাবার পকেট থেকে ফির পকেট
সুর ছুটে যায় যাক-
ভাঙে ভাঙুক এই ভাড়
ভাড়মে যাক এই হারমোনিয়া
ঢিল নং এনঃ
যৌবন উছলানো আমার ঢেউ
খেলে যাচ্ছে রৌদ্র ছায়ায়
নদীর দুপাড়
এর দিকে ও, ওর দিকে এ
উথালি-পাথালি ছুড়ে যাচ্ছে বালি
ভাঙা হাতে বৈঠা নিয়ে মন
হাত নিশপিশ করে মাঝি
জলতরঙ্গের কোমল পায়ে পড়ে যে
আমার ভাঙা পাও ।
No comments:
Post a Comment