অরুণকুমার দত্ত

অরুণকুমার দত্তের কবিতা

সেমি ভায়োলিন


ফ্লুট মেলানো জলটল পারাবত রেখে বাঁ-গাঁয়ে রামদীন
কলপ পাড়ায় মেলোরাই
আয়েষার শ্যামাশংকর বৃক্ষবাজানো ম্যান্ডোম্যান
গোলাবাড়ির কণ্ঠে পলাশপুরের মথ

            কমলা
             শিব
             শঙ্খিনী
 ত্রিফলায় ময়াম মেশানো কামরূপী
ছেঁড়া ছেঁড়া
ভুবন গোলার টিলায় সাজো সাজো বনবিপ্লব
             
আলবিরুনীর পালক ঝরে পড়ছে


ফুঁসলিয়ে রাতের তলপেট থেকে  ডানাওয়ালা আলিবাবা
চিচিং বন্ধ
কারখানার দেওয়ালে দেওয়ালে মিউট রঙের বাইসন
মরা মাছেদের সপ্তকাণ্ড
শোয়ানো বিপ্লব রেখা
অন্তরঙ্গে কাঁটাতার ছাড়িয়ে খাওয়া উঁচা উঁচা মাহী দানবেরা সংহার রাঁধুন


পায়রার বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে পাড়ায় পাড়ায় প্রেত
কেউ কেউ নগর কর্তাকে নিয়ে এলো
তার দুধের সাগরে তখন ক্ষীরের বাজনা
কলমচির কপালে কর্কট রেখায় ছেনালি নীলাম
বাত পতাকায় রক্তের সুতো জড়িয়ে যাচ্ছে
সূর্যের ডালিম নামুক শিশুদের মুখে মুখে


শাপের ময়না তদন্তের পাশে হরভোলা
বহুবাচনিক সোয়েটার দিয়ে মোড়া রিডিং হাউস
কলমের ফ্ল্যাস ময়নায় কালিকট থেকে হেঁটে আসা জরুৎকার
পঙ্গু-পাণ্ডব কুমীরেরা হাউস পিয়ানো বাজায়
অন্ধ ধর্মরাজ রমণের শাখায় শাখায় রম্য লেখেন
কেউ কেউ তবু কাকতালীয় সাধনার লিপিকার

কমলে কমলে একটি বন্ধুর প্রজাপতি স্বর্ণ সিলেবেল নিয়ে ওড়ে


মধুজার শ্বাসাঘাত থেকে এপ্রিল বুড়ি
বাইপাস থেকে হেঁটে অক্টোপাস ডোঙায় উঠে বসেছেন
বলভদ্রের ড্রাকুলা ক্যানভাসজুড়ে শবনিরোধক
দাইবুড়ির কুঁকড়ানো মাজা
প্রদুন্মের জ্বলন্ত সিগার
নৌযাত্রা অথবা ট্রামযাত্রার ছদ্মবেশীদের হস্তশোভা দেখবার মতো!


বন্দর বাজনার রথ
সৌমকান্তি রাধাকান্ত আলো-আঁধারী মদনমোহন বাজিয়ে চলেছেন কুম্ভকর্ণে
নীলাম্বরের কমলিকা ঢাকা মেঘ
ছায়ারমণের বিশ্বামিত্র খাদিজা আলোয় হাঁটে
এবঙ্গের সমস্ত খয়েরি ক্যাম্প ঢলে পড়ছে কুণ্ডে
কথাদের জৌলুস আর লোম মুলতুবি থাক
রোমকূপে  রোমকূপে রেডিয়াম ট্রি পুঁতে সূর্যে রাখুন


রোপণ কণারা ঢাকা থাক

পুনরায়

ফিউজ বাজিয়ে বাজিয়ে গর্ভবতী অপভ্রংশে
কুনোঘর আঁকা চলতেই থাকে
পাতালের ইলোরা ধোঁয়া
আলোকূপ
ভুঁই রাক্ষস

কীভাবে বিশ্রামঘর কেটে দেয় পোকা
পাকা আপেলের দু-জন মল্লযোদ্ধার একজন ফিকে
একজন ট্রপিজম কাঁধে নিয়ে রাহেলা তারায় ওড়াচ্ছে

5 comments:

  1. কারখানার দেয়ালে দেয়ালে মিউট রঙের বাইসন অথবা ডানাওয়ালা আলিবাবা কিম্বা একটি বন্ধুর প্রজাপতি স্বর্ণ সিলেবেল নিয়ে ওড়ে - এই উচ্চারণই অরুণকুমারকে ব্যতিক্রমী তরুণকবি হিসাবে চিহ্নিত করার পক্ষে যথেষ্ট নয় কি ? যার নিজস্ব অপার জগত নিয়ে পাঠককে পাতালের কুনো ঘর থেকে আলোর কূপ চিনিয়ে নিয়ে যায় । যেখানে রোপণ কণারা ঢাকা থাকে । তার রহস্য উন্মোচনের দায়িত্ব পাঠকের । মেধাবান পাঠকদের অবশ্যই দৃষ্টি আকর্ষণ করা উচিত সমসাময়িক সময়কে অতিক্রম করে যাওয়া এই কবিতা গুলি ।

    ReplyDelete
  2. Ei lekha niye kichhu bolar moto jogyota ami ekhono orjon kore uthte parini... Ek kothay bolte gele, chikte gelam।

    ReplyDelete
  3. Ei lekha niye kichhu bolar moto jogyota ami ekhono orjon kore uthte parini... Ek kothay bolte gele, chikte gelam।

    ReplyDelete

Facebook Comments