রূপম দে

 

রূপম দের কবিতা

কল্যাণীয়েষু


মাত্র একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সেকেন্ডের ভগ্নাংশ পরে
নিষেক শুরু হলে
আমি নিশ্চিত আইনস্টাইন হতাম

ঘরে ঘরে ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়িয়ে রাজা
শুধু প্রবোধ দেন আর কিচ্ছু না
আমাদের খাটুনি সমাজের প্রয়োজন ঠিক
এই কারণেই আমাদের নিলাম হয়না

একটা ঢিল ছুঁড়ে না মারলেও চলত
দেওয়ালেরা ভাঙে না হাজার বছরেও

একটি নিষ্পাপ শিশুর মুখে পাপ দেখি
ওভাবে সমস্ত ভেড়া ও ছাগলেরা বলির
অযোগ্য হয়ে উঠবে

জানা কিছু ঘটনার প্রতিরোধের ফলাফল
নিয়ে জীবনের প্রতিষেধক তৈরি করে রাখি

সমস্ত রোগই আজকাল মৃত্যু এনে দিতে পারে



সূর্য থেকে দূরে


প্রদীপ মোমবাতি গুনে গুনে চৌদ্দটি
জ্বেলে মুখ বড় উদ্ভাসিত করে ফেলি
ক্ষুদ্রক্ষণকাল তারিয়ে জাবর কাটার মতো
করে গুছিয়ে নিয়েছি ভ্রমণের সুটকেস ও
দায়
আলোগুলি রক্ষা করতে হবে নিজেকেই
তাই অজস্র টন জঞ্জাল ও অকেজো
অনুভূতি যোগাড় জঠরের চেয়ে কিছু
গুরুতর হয়ে ওঠে
আলো জ্বলতে থাকলে কেউ বই নিয়ে
বসে কেউ থালা নিয়ে খেতে চেষ্টা
করে
আর কেউ ইঁদুরের গর্ত খুঁজে খুঁজে
কেরোসিন ঢেলে দেয়



ইচ্ছে


ওইসব বাক্যবন্ধ রোজ বলেছ
মুখে রূপোলী আলো পড়বে বলে

প্রতিঘাত আছে রোজ যদি এককথা
বল মগজকোশেরা ধর্মঘটে নামে

পর্যাপ্ত যৌনাঙ্গ ছাড়া মানুষের কোন
দাম নেই পশু ও গাছেদেরও ছাড় নেই

বড় অল্পে ক্ষমা দিতে দিতে এখনও
কোনও অপরাধীকে সাজা দিতে পারিনি



প্রক্রিয়া


ত্যাগের প্রশিক্ষণ খুব জরুরী
শেষমেশ এইমাত্র এইটুকু বুঝে
ভাত খেতে গেলাম

পাওয়ার তালিকা বড় হবে কীভাবে
ভাবতে ভাবতেই দুবার ভাত নিলাম

মাছের ঝোল দিয়ে মাখাতে মাখতে
আড়চোখে পরিস্থিতি আঁচ করার চেষ্টা
করি কেউ আন্দাজ করতে পারছে কিনা
আজই আমার মোক্ষলাভ হবে

পকেটে হাত দিয়ে বুঝি পকেটমারি হয়েছে
ভাগ্যিস দোকানের মালিক চেনা হয়ে উঠেছে
ভীষণ তাই পরে দিয়ে গেলেও হবে

কি কি ছেড়ে দেব গুনতে গুনতে
ইশারায় বলে দিই খাতায় লিখে নিও
বেরোবার সময় হোঁচট খাই
আর তোমার নাম মুখ থেকে বেরিয়ে আসে
অনেকসময় গান মনে মনে গাইবার কালে যেমন

ভণ্ডুল হয়ে যায় উপবাস আর ক্ষরিত হয়
শোচনীয় হরমোন ত্যাগ করার পরিকল্পনা
দুকদম এগিয়ে আনি ভোর এই হয়ে এল বলে

No comments:

Post a Comment

Facebook Comments