শুভ আঢ্য

 

 

এলিয়েন ও কবিতাগুচ্ছ




সসার থেকে দেখা মাটি আর পাথরের পৃথিবী
সেখানে লিলিপুটের মত পাথরের ঘরবাড়ি
জেগে রয়েছে একচোখ খুলে, যার বন্ধ আরেক চোখ...
যৌগ বলতে যা কিছু বয়ে যায়, যতটা হাইড্রোক্সি,
তা তোমরা জল বলে আধারে নিয়েছ, আবার তাই'ই
সসারের পাশ থেকে ঝরে অ্যাসিটিক বেগুনী আকাশে

ওই মাটি আর পাথরের পৃথিবীর মধ্যে ধাতব খোলস জড়িয়ে
বেঁচে আছ তোমরা, করছ নড়াচড়াও, তোমাদের
খাদ্যাভ্যাস জলে চরে বেড়ায় শ্যাওলার পাশে, অ্যামিবার মতই

তোমাদের খাদ্যাভ্যাস পোলট্রিতে দানা খোঁজে
তোমাদের খাদ্যাভ্যাস খোঁয়ারে তোমাদেরই খোঁজে ডাকে
তাকে উত্তর দিয়ে তোমরা ওপরে তাকাও, আর  নাড়াও
ভোকাল কর্ড, ডাকো, অথচ তা পৌঁছায় না সসার অবধি

পাথর আর মাটির ওপরে স্থির ওই লোহার সসার, সেখানে
মগজহীন আমি জেগে থাকি যেন লোহার যৌনাঙ্গ কোনো,
জেগে থাকি একচোখ বন্ধ অথচ অপর চোখ খোলা রেখে
পাথর আর মাটির ওই পৃথিবীর দিকেই, তোমাদের
গতিশীলতার দিকে, মরচের দিকে আর মরণের দিকে
চোখ আর বদ দৃষ্টি শুধু চলে যায় আমার



জানলার বাইরে হেঁটে বেড়াচ্ছে ধুমকেতু, ছায়াপথের ওপর
তোমরা পৃথিবীতে শুধুই পাথর ভাঙার কথা বলো,         দেখি
বলো না ছায়ার কথা, তারাদের পথ থেকে কখনও তুলে বসাও না চুলেও
শুধুই ব্রীজের আড্ডায় ভেঙে ফেলো হতাশা আর তাসের পেটি

সসার থেকে দেখি তোমাদের জোকার যতটা অন্ধকার
ঠোঁটেতে সাজালো, আমার কুঁচকিতে তার চেয়েও বেশী
রাখা আছে অক্সিজেন নেওয়ার উদ্ভিজ্জ বাইপ্রোডাক্ট
তোমাদের জানলার বাইরে হেঁটে বেড়াচ্ছে লোহার বর্ম পরা
অন্য তোমরা, অথচ আকরিক হয়ে উঠছে না তারা
বলছে না খনির কথাও, শুধুই পাথর ভাঙার দিনে
তাকিয়ে রয়েছে প্রাণপণে সসারের দিকে, জানলার ওপরে
ধুমকেতু দেখছে, ছায়া ছায়া পথের কথা ভাবছে অনবরত



আমার পোঁদের গোড়ায় আলোগুলো তাদের ফোটন পুরে দিয়েছে
বাহ্যের সময় আমার চিৎকারে তোমাদের উত্তেজনার আলো
মরে আসে, যদিও তোমাদের মরচের গোড়ায় আমার আলো
পড়লে তা থেকে তোমরা বিদ্যুৎ তৈরী করো, ঘরে আলো জ্বালাও
আর বাইরে লোহার খাঁচার ভেতরে বসো, তোমাদের সঞ্চয়ের
কথা ভেবে আমার পোঁদের ফুটোয় ফোটনেরা চিরবিড় করে ওঠে
তারপর বাহ্যের সময় আমার চিৎকারে দপ্‌দপ করে উঠলে
তোমাদের ঘরের আলো, ফেরা হয় ওই ফোটনগুলোর বাতিল কোষে...

পোঁদের গোড়ায় আলো পুরে দিয়েছে ফোটন আমার
তোমরা মরচের গোড়ায় শুধুই সার বানানোর উপকরণ নিয়ে বেড়াও
আমি সসারের ওপর থেকে দেখি অদ্ভুতরসে ভরে উঠছে গাছগুলো
তোমাদের সম্ভাব্য আত্মহত্যার আধার হয়ে উঠছে হয়তো বা



বিস্ময় অজ্ঞানতার ওপরে আইসিং হওয়া চেরী মাত্র
সেই ভেবে নিয়ে তোমরা আমার দিকে তাকাও
কপালের ওপর অংকুরিত অঙ্গ প্রত্যঙ্গাদি নিয়ে
আলোচনা কর, এবং সসারের জ্বালানী নিয়ে স্বর বাড়াও

আমার কিম্ভূতকিমাকার দেহ নিয়ে তোমাদের ক্ষোভ জাগে
মোহাবিষ্ট হয়েও পড়ো কেউ কেউ, কয়েক লক্ষ যোজন
ওপারে গাছের রঙ কী সেই নিয়ে শিশুর মত তর্ক করতে দেখলে
আমি গ্যাসীয় আস্তরণের কথা ভাবি, সেই পাথর ছেড়ে আসা
ল্যাভেন্ডার রঙের রাস্তায় পড়ে থাকা আধকাঁচা স্মৃতির কথা ভাবি
এবং তোমাদের দিকে তাকাই, তোমাদের প্রচ্ছন্ন
যৌনাঙ্গের কথা ভেবে আমার জননাঙ্গ
লকলক করে উঠলে তোমরা তফাতে চলে যাও

4 comments:

Facebook Comments