বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়য়ের কবিতা
উচ্ছনের দিন
নিজস্ব অতৃপ্তি চিরে সুখ সুখ হাতড়ে হাতড়ে ব্যথা
মন শেকড় উপড়ে যায়
যেতে যেতে
তীব্র মোচড় দ্রুত শ্বাস আর রক্তপাত
উচ্ছনের দিন মাটির ভেতর থেকে অকস্মাৎ উঠে এল ফাও
সুদে মূলে বুকজ্বালা ভাঙাকলসি
অফুরোনো সুখফাঁক পিপাসাপ্রবন
এসব নিয়েই মেঘঢাকা অস্তবিকেল
জলের আয়না জুড়ে অনুতাপ
সুখ অসুখের ঘর
যে সুখটুকু আলগা ছায়ার মধ্যে জড়িয়ে আছে
ঠিক ততদূর যাব
পা বাড়াচ্ছি
বাড়িয়ে দিচ্ছি হিসেবকলের তথ্যপঞ্জি
আর জ্যোতিষের বরাভয়
আমার সুখ অসুখের ঘর নির্বিকার
হেসে ওঠে ।
ঋতু
এক একটি ঋতু টাঙিয়ে রাখি
উঠোনের তারে
যেভাবে পাখিরা আসে অবিকল সেরকমই শীত গ্রীষ্ম হেমন্তের
ছায়া পড়ে আঙিনার গায়ে , কত রঙ
মেঘ ও বিদ্যুৎ নিয়ে বর্ষা আসে
শিউলির অপরাজিতা ভোর
খেজুর গুড়ের গন্ধে চুপিচুপি শীত এসে দরজায় দাঁড়ায় ।
প্রজাপতি তারে বসে
উড়ে যায় দূরে ...
কেবল পরাগগন্ধ উড়তে থাকে বাতাসবাহিত ।
No comments:
Post a Comment